রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই খেলছেন বিরাট কোহলি। এ দীর্ঘ পথচলায় দলে কার সঙ্গে তিনি সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ এবং কাকে এক রুমে চান না—তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের ক্যারিয়ারে বড় পরিবর্তন এনেছে যে পরামর্শ, সেটিও প্রকাশ করেছেন কোহলি।
সম্প্রতি আরসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে কোহলিকে জিজ্ঞেস করা হয়, দলের কার সঙ্গে কখনো হোটেল রুম শেয়ার করতে চান না তিনি। উত্তরে কোহলি বলেন, “স্বস্তিক চিকারার সঙ্গে এক রুমে থাকা মুশকিল। ও আমাকে একা থাকতে দেয় না। সারাক্ষণ কিছু না কিছু বলতে থাকে।”
তবে দলের আরেক তরুণ ক্রিকেটার জীতেশ শর্মার প্রশংসা করেছেন কোহলি। বলেন, “জীতেশ খুবই মজার ছেলে। ওর চোখেই ফুটে ওঠে কতটা প্রাণবন্ত ও রসিক সে। ওকে কাছ থেকে আরও ভালোভাবে চিনতে চাই।”
ভক্তদের বহু আগ্রহের প্রশ্ন ছিল—কোন ক্রিকেটারের প্রভাব কোহলির জীবনে সবচেয়ে বেশি? এই প্রশ্নের উত্তরে কোহলি জানান, ২০০৮ সালে আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক মার্ক বাউচার তাকে ফিটনেস নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেন।
কোহলি বলেন, “বাউচার আমাকে বলেছিল—‘তুমি নিজের দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছো। এভাবে চললে তিন-চার বছরের মধ্যে ভারতের দলে জায়গা হারাবে।’ তখনই বুঝি, ফিটনেস ছাড়া টিকে থাকা কঠিন। সেদিনের পর থেকেই নিজেকে পাল্টাতে শুরু করি।”
তিনি আরও জানান, কড়া ডায়েট মেনে চলেছেন—অনেক সময় শুধু সেদ্ধ ছোলা খেয়ে থাকতে হয়েছে, এমনকি খিদের জ্বালায় বিছানার চাদর চিবোতে ইচ্ছা করত। তবুও লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি।
আজকের দিনে বিরাট কোহলিকে ক্রিকেটের অন্যতম ফিট এবং নিবেদিত ক্রিকেটার হিসেবে ধরা হয়। তার ফিটনেস মডেল হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্মের কাছে—দেশে এবং বিদেশে।
এসএস