কুয়েটে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও এলেন না কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী!

প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (৪ মে) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে শিক্ষক সমিতি। লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, তালা খোলা থাকলেও ফাঁকা শ্রেণিকক্ষ। শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষক কেউই আসেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিষয়ে গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন বিভাগের ডিনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। আজ সকাল ১০টা আবারও বৈঠকে বাসার কথা রয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সহপাঠীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কুয়েট। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ, রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। একপর্যায়ে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন।

একদিকে বন্ধ ক্যাম্পাস, অন্যদিকে অনশন। শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানে এক সময় নরম হয় প্রশাসন। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ বেশিরভাগ দাবি মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়ে উপাচার্য পদত্যাগের এক দফায় রূপ নেয়। যা দাগ কাটে সারাদেশে। ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন শিক্ষা উপদেষ্টাসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত কমিটি।

গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

এরপর থেকে সব আন্দোলনের সমাপ্তির সঙ্গে স্বস্তি নিয়েই হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায় বিচারের পরাজয় হয়েছে বলে মনে করেন কুয়েট শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষকরা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সংঘর্ষে কুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। ওই দিন বিকেল থেকে পরদিন বিকেল পর্যন্ত কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। তারা বিদায়ী উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে মারধর, লাঞ্ছিত ও গালাগাল করেন। পরবর্তীতে গত দুমাসে আন্দোলন চলাকালে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তিও করেন। এ নিয়ে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ।

এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরাকে কুয়েতের ৯টি বিমানের জরুরি অবতরণ Nov 09, 2025
img
রশিদে কম টাকা দেখিয়ে ধরা পড়া ভূমি কর্মকর্তা পদচ্যুত Nov 09, 2025
img
গাভির শূন্যতা অনুভব করছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি Nov 09, 2025
img
আর্জেন্টিনার ৭-০ গোলের জয় Nov 09, 2025
img
রহস্যময় মন্তব্যে বিতর্কে জড়ালেন অপরাজিতা Nov 09, 2025
img
অস্থির সময়ে শান্ত থাকার পরামর্শ দিলেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায় Nov 09, 2025
img
জাহানারার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি Nov 09, 2025
img
সব পদ থেকে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার Nov 09, 2025
img
এবার ওটিটিতে দেখা যাবে জয়া-আবীরের সিনেমা Nov 09, 2025
img
অনশন ভেঙে ডাবের পানি খেলেন তারেক Nov 09, 2025
img
কিউবার অন্তর্ভুক্তি দলের শক্তি বাড়িয়েছে, মনে করেন তপু Nov 09, 2025
img

মোস্তফা ফিরোজ

সবাইকে খুশি রাখতে গিয়ে কারো মন পেলেন না ড. মুহাম্মদ ইউনূস Nov 09, 2025
রাজশাহীর ফুটপাত উচ্ছেদে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ Nov 09, 2025
img
‘কফি উইথ করণ’-এ বিরাট কোহলির না থাকার কারণ জানালেন করণ জোহর Nov 09, 2025
img
বদলে গেল আয়ুশ্মান-শর্বরীর সিনেমার নাম Nov 09, 2025
img
‘রাউডি রাঠোরের’ সিক্যুয়েল আসছে ১২ বছর পর Nov 09, 2025
img
জোহরান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি তুলছে ট্রাম্পের দল Nov 09, 2025
img
জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পেয়ে হতাশ আফগান সরকার Nov 09, 2025
img
ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে: মির্জা ফখরুল Nov 09, 2025
img
চাঁদপুরে নদীর পাঙাশ প্রতি কেজি ৯০০ টাকা Nov 09, 2025