পাকিস্তানকে এশিয়া কাপে দেখছেন না গাভাস্কার

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয় না। তবে ২০১৩ সালের পর দুই দেশের মাটিতে না হলেও সম্প্রতি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে দুই দলের সিরিজ আয়োজন করা যায় কি না সেই আলোচনা হয়েছিল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সিরিজ আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।
যদিও এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি।

এখন আবার পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আলোর মুখ দেখা তো দূরের কথা আইসিসি বা এসিসির টুর্নামেন্টেও তাদের ম্যাচ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন সুনীল গাভাস্কারের মতো কিংবদন্তি। অবশ্য পেহেলগামের ঘটনার পর ভারতের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারসহ ভারতের ক্রিকেট বোর্ডও জানিয়েছে (বিসিসিআই) পাকিস্তানের সঙ্গে আর ম্যাচ খেলতে চান না তারা।
তবে গাভাস্কার নির্দিষ্ট করে একটা বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা বলেছেন।

ভারতের সাবেক ব্যাটার জানিয়েছেন, আগামী এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট হতে পারে। স্পোর্টস টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সরকার যা বলে তাই করে বিসিসিআই। তাই আসন্ন এশিয়া কাপেও কোনো পার্থক্য দেখছি না। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
সবকিছু নির্ভর করছে সামনে বিষয়গুলোর পরিবর্তন হয় কি না। যদি কোনো ধরনের পরিবর্তন না আসে, তাহলে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে দেখছি না। যেহেতু ভারত ও শ্রীলঙ্কা এবারের আয়োজক।’


পাকস্তিান না থাকলে তিন বা চার দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট হতে পারে বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার। তিনি এমনও জানিয়েছেন যে, সামনে হয়তো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভেঙেও যেতে পারে।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ১০ হাজার রান করা ব্যাটার বলেছেন, ‘জানি না, সামনে কি হবে। তবে মনে হচ্ছে সামনে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে যেতে পারে। টুর্নামেন্টটা তিন বা চার দলের হতে পারে। সেক্ষেত্রে হংকং বা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তাই এসিসি ভেঙে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে আগামী কয়েক মাস কি ঘটতে যাচ্ছে।’

ভারত আয়োজক না হয়ে যদি এককভাবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা কিংবা অন্য কোনো দেশে হতো তাহলে ভিন্ন কিছু হওয়ারও সুযোগ থাকত বলে জানান গাভাস্কার। সেই ভিন্ন কিছুর ব্যাখ্যায় সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘এমনও হতে পারে এসিসি থেকে ভারত বেরিয়া আসার সিদ্ধান্ত নিল। ৪ বা ৫ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হলো। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের সঙ্গে অন্য কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কা এবারের আয়োজক হলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। কিন্তু এবারের আয়োজক যেহেতু ভারত তাই ভারতই আয়োজন করবে।’

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক মারা যায়। এই হামলার জন্য তাই পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে ভারত সরকার। এতে দুই দেশের সীমান্তে এখন উত্তেজনাও বেড়েছে।

টিকে/টিএ

Share this news on: