৩ গোলের লিডের পরেও কষ্টার্জিত জয় রিয়ালের

কামব্যাক শব্দটা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বেশ ভালোই মানায়। যদিও বিগত কয়েক সপ্তাহে তেমন একটা দেখা যায়নি লস ব্লাঙ্কোসদের কাছ থেকে। আজ বরং ঘরের মাঠে সেল্টা ভিগোর কাছেই কামব্যাকের দুঃসময় হজম করতে বসেছিল তারা।

ম্যাচের ৪৮ মিনিটেই ৩-০ গোলে লিড নেয়ার পরেও রিয়ালকে ভুগতে হয়েছে শেষের সময়টা। বলতে গেলে কোনোক্রমে ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পেরেছে তারা।
আর্দা গুলেরের প্রথম গোলের পর বিরতির আগে-পরে জোড়া গোল ছিল কিলিয়ান এমবাপের। ৪৮ মিনিটেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া। এমন অবস্থায় ম্যাচ হেরে বসাটাই বরং কঠিন ছিল রিয়ালের জন্য। কিন্তু হলো সেটাই। ৭৬ মিনিটের মধ্যেই ২ গোল শোধ করে বসে সেল্টা।

শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের ওই ব্যবধানেই ম্যাচ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর এই জয়ের পর লা লিগার শিরোপা রেসটাও জমিয়ে রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। জয়ের ফলে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানটা আবার ৪ পয়েন্টে নামিয়ে 

৩৪ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৭৯ আর সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৫। লা লিগায় নিজেদের পরের ম্যাচে একের অপরের মুখোমুখি হবে রিয়াল-বার্সা। সেই এল-ক্লাসিকোর মহারণ জিতলেই শিরোপার দৌড়ে টিকিয়ে রাখতে পারবে রিয়াল মাদ্রিদ। হারলেই বিসর্জন দিতে হবে লা লিগার শিরোপার স্বপ্ন।

ঘরের মাঠে এদিন শুরুটা ভাল ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। শুরুর ১০ মিনিটের মাঝেই অন্তত দুইবার রিয়ালকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। রিয়াল অবশ্য প্রতি আক্রমণ থেকে এগিয়ে যেতে পারত। লুকাস ভাস্কেজের শট ফেরাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন সেল্টা ডিফেন্ডার ইয়োয়েল লাগো। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা থেকেও গোল পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
এরপরেও প্রথম লিড নিয়েছিল রিয়ালই। লুকাস ভাস্কেজের পা ঘুরে আসা বলে দারুণ ফিনিশে লিড এনে দেন আর্দা গুলের। ৬ মিনিট পর সেল্টার আক্রমণ ঠেকান কর্তোয়া। সেখান থেকেই প্রতিআক্রমণে ২-০ গোলে লিড পায় রিয়াল। এবারে গোল করেন এমবাপে। অ্যাসিস্ট ছিল জ্যুড বেলিংহামের।

২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে খেলার বয়স যখন ১ মিনিট, তখনই তৃতীয় গোল পায় দলটি। এবার আর্দা গুলেরের পাস থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। এবারের লিগে এটি তার ২৪তম গোল। তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল বার্সেলোনার রবার্ট লেভানডফস্কি (২৫)।

সবাই যখন রিয়ালের একপেশে জয়ের অপেক্ষায়, তখনই ৬৯তম মিনিটে হাভি রদ্রিগেসের গোলে ব‍্যবধান কমিয়ে আনে সেল্টা ভিগো। কর্নার থেকে রিয়ালের গোললাইন ক্লিয়ারেন্সের সুবাদে ফিরতি বল পান হাভি। সেখান থেকেই নাম তোলের স্কোরশিটে। এর কেবল সাত মিনিট পর সুইডবার্গের গোলে ব‍্যবধান আরও কমায় সেল্টা।

৭৯তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলছিল সফরকারীরা। কর্তোয়াকে একা পেয়ে ভাল শটই নিয়েছিলেন দুরান। তার শট রিয়াল গোলরক্ষক ঠিকঠাক ঠেকাতে না পারলেও বলের গতি কমিয়ে দিতে পেরেছিলেন। সেটাই রিয়ালের হয়ে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। 

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ