সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাইকাপন গ্রামের ফুলবাড়ি এলাকায় গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচটি পরিবারের সব কিছু। বৈশাখে কষ্ট করে ওঠানো ধান, বসতঘর, শিশুদের বইখাতা, এমনকি জমির মূল্যবান কাগজপত্র—সব কিছুই আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন খোলা আকাশের নিচে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৫ মে) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নে।
ক্ষতিগ্রস্তদের ভাষ্যমতে, বৈদ্যুতিক বাল্ব বিস্ফোরণের পরপরই দুলাল মিয়ার ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে, যা মুহূর্তেই আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে সব শেষ।
পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে দুলাল মিয়া, নাহেন মিয়া, কাহেন মিয়া, ও তুকাজ মিয়ার পরিবার। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত সাইমুদ্দিনের পরিবারও নিরাপদে নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
দুলাল মিয়া বলেন, পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। ধানঘর, নগদ টাকা, কাপড়চোপড়- এমনকি বাড়ির দলিল-এনআইডি—সবই পুড়ে গেছে। এখন আমরা প্রতিবেশীদের বারান্দায় পড়ে আছি। যদি সরকার একটু পাশে দাঁড়ায়, আবার হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
নাহেন মিয়ার কণ্ঠে আতঙ্কের ছাপ। তিনি বলেন, আগুন এতো দ্রুত ছড়ালো যে কিছুই নিতে পারিনি। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছি— জীবন পুড়ছে আগুনে।
তুকাজ মিয়া বলেন, বৈশাখ মাসে কষ্ট করে যে ধান তুলেছি তার অনেকটা পুড়ে গেছে। অনেক কষ্টে কিছুটা ধান বাঁচাতে পেরেছি। প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমাদের।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফজলে রাব্বানী চৌধুরী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুত তাদের পূর্ণ সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরএ/টিএ