কুষ্টিয়ায় শারমিন সুলতানা নামে এক নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি, জমি, ঘর ও ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৫০ জন মানুষের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাওনা টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা সোমবার (৫ মে) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে তাকে মারধর করেন।
পরে খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শারমিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি একজন এমবিবিএস চিকিৎসক এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেহেরপুরের মুজিবনগরের বাসিন্দা সুমি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “ডা. শারমিন আমাদের সরকারি চাকরি, জমি ও ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলে আজ আমাদের মারধর করে পালানোর চেষ্টা করেন।”
একই অভিযোগ করেন চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সালমা খাতুন, খাদিজা খাতুন ও দামুড়হুদার জাহিরা খাতুন। কেউ ছাগল বিক্রি করে, কেউ ধারদেনা করে টাকা দিয়েছেন বলে জানান তারা।
অভিযুক্ত ডা. শারমিন সুলতানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে মারধর করেছে, এমনকি গহনা ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে।”
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নারী তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এসএস/টিএ