জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার কাছ থেকে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে ভারত। রোববার ভারতে এসে পৌঁছেছে সেই ক্ষেপণাস্ত্রের চালান।
চালানে কতগুলো ইগলা-এস রয়েছে, তা জানা যায়নি; তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, এই চালানের ক্রয়মূল্য হিসেবে রাশিয়াকে ৩০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ প্রদান করেছে ভারত।
রাশিয়ার ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজেরই একটি সংস্করণ ইগলা-এস বা ইগলা-সুপার । এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হালকা, তড়িৎগতিসম্পন্ন হয়। স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হলেও এটি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইগলা-এস সর্বোচ্চ ২৮০ মাইল বা ৪৫০ দশমিক ৫২ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।হালকা ও সহজে ব্যবহারযোগ্য বলে যুদ্ধক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র বেশ কার্যকরী। ভারতের সেনাবাহিনী গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে ইগলা সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আসছে।
গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।
এ হামলাকে ঘরে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করেছে পাকিস্তান।এই আবহেই রাশিয়া থেকে ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্রের চালান এলো ভারতে।
এমআর/টিএ
