দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই হামলাকে “একটি সুপরিকল্পিত ফ্যাসিবাদী চক্রান্তের অংশ” বলে মন্তব্য করেন এবং এই ঘটনার সঙ্গে নিজের অতীত অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পান।
মাহমুদুর রহমান বলেন, “হাসনাত আব্দুল্লাহ আমাদের এই বিপ্লবী তরুণদের অন্যতম, যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ওপর যে ধরনের হামলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে আমার ওপর যে হামলা হয়েছিল, তার সঙ্গে একেবারে মিল রয়েছে। আমার ওপর আক্রমণটি ছিল আরও বড় পরিসরের। সে সময় আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। গতকাল হাসনাতও বেঁচে গেছেন। এর মানে, ফ্যাসিস্ট শক্তি এখনও বাংলাদেশে সক্রিয়।”
তিনি আরও জানান, “ঘটনাক্রমে ওই সময় বিএনপির গুলশান অফিসে একটি সভা চলছিল, যেটির সভাপতিত্ব করছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করে অনুরোধ করেন আমার প্রাণরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে। তখন কামাল জানান, ‘এখানে আমার কিছু করার নেই। এটা উপরের নির্দেশ।’ এর অর্থ, হামলার নির্দেশ এসেছিল সরাসরি শেখ হাসিনার কাছ থেকে।”
নিজের রিমান্ড অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমাকে ডিবিতে মেঝেতে রাখা হয়েছিল। আমরা প্রায় ৩০-৩৫ জন এক গারদে গাদাগাদি করে থাকতাম। রিমান্ডের শেষ রাতে, হঠাৎ আমাকে ডেকে নেওয়া হয় একটি টেলিভিশন স্টেশনে। সেখানে একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চেয়েছেন আমাকে সেই berating চেয়ারে বসানো হয়েছিল কিনা— যে চেয়ারে বসিয়ে উচ্চ গতিতে ঘোরানো হয়, যাতে বন্দি বমি করতে করতে জ্ঞান হারায়।”
তিনি এ ধরনের আচরণকে “শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রকৃত রূপ” হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, “আমরা এখনো যদি এই চরিত্র বুঝে না থাকি, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অনেক কিছু শেখার বাকি রয়েছে।”
এফপি/এস এন