ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রোববার (০৪ মে) রাতে এক ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় রাতভর চলা এই হামলায় শতাধিক ড্রোন ছোড়ে মস্কো, যার ফলে বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ঘটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন, যাদের মধ্যে একাধিক শিশু রয়েছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলায় ব্যবহৃত কিছু ড্রোন প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। তবে বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য। কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও সরকারি অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই ড্রোন হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই হামলার মধ্যেই চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় সম্ভব। অন্তত ৩০ দিনের জন্য হলেও যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, যাতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে বাস্তব রূপ দেওয়া যায়। তবে এজন্য পশ্চিমা মিত্রদের আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।”
জেলেনস্কি আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখা উচিত, যাতে তারা আলোচনায় বসতে রাজি হয়।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাল্টা মন্তব্যে পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে পারমাণবিক উত্তেজনার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, “পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। তবে রাশিয়া সেই উস্কানির পথে হাঁটবে না। ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।”
পুতিন আরও জানান, রাশিয়ার যথেষ্ট সামর্থ্য ও কৌশল আছে, যা এই যুদ্ধকে একটি যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যেতে পারে। মস্কো কোনো অবস্থাতেই তড়িঘড়ি করে পদক্ষেপ নিতে চায় না, বরং সংযম বজায় রেখেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এফপি/এস এন