চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে সরাসরি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ উঠবেন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে ‘ফিরোজা’ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফিরোজার সামনে নিরাপত্তায় রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৮টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ফিরোজার সামনের সড়কটি গাড়ি চলাচলে আটকে দেওয়া হয়েছে। শুধু হেঁটে চলাচল করতে একটু শিথিল রাখা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নিজ বাসা থেকে মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বের হন তারেক রহমান। যুক্তরাজ্য সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসহ ৯ জন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী সরকার।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
এসএম/এসএন