সীমান্ত রেখায় ভারতীয় সেনাদের চেকপোস্ট লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলা ছুড়ছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরসহ বিভিন্ন জায়গায় মিসাইল ছোড়ে ভারত। এরপর পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে পাকিস্তানের সেনা ও বিমানবাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বুধবার (৭ মে) সকালে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলার পর থেকে সীমান্ত রেখার চেকপোস্টগুলোতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানের সেনারা।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামের হামলার পর টানা ১২দিন ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রথমবারের মতো ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের শ্রীনগর বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সবধরনের বেসামরিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল ছোড়ার শব্দ শোনা যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময় শ্রীনগরের ১৫ কর্পসের সদরদপ্তরে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজতে শোনা যায়। সেখানকার এক কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রথমবারের মতো উরি এবং কুপওয়ারাতে ভারী গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।”
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে পাকিস্তান সীমান্ত রেখায় ১৫দিন গুলি ছুড়েছে। কিন্তু এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। এরপর থেকে টানা ১২দিন সেখানে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে পাকিস্তানের যেসব জায়গায় ভারত মিসাইল হামলা চালিয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া ভারত অন্তত চারটি মসজিদে মিসাইল ছুড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে। তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
এদিকে ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে সীমান্ত রেখায় তিন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের হামলা ও উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেখানকার সব হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের ছুটি বাতিল করে তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরআর/টিএ