বুধবার (৭ মে) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের চারটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ ধ্বংসের দাবি করার কয়েক ঘণ্টার মাথায়।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বড় ধরনের পাল্টা দাবি উঠেছে। রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, ‘পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।’ এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট, একটি রুশ নির্মিত সুখোই (Su-30) এবং একটি মিগ-২৯, যা সোভিয়েত আমলের তৈরি।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এই দাবির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় পর্যটকদের উপর চালানো সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এর দায়ভার পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী কঠোর জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতের দাবি, এতে ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এদিকে পাকিস্তান বলছে, এ হামলায় নিহত হয়েছে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নিতে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন জানায়, হতাহতদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী ছিল না, বরং সাধারণ মানুষই প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই নতুন উত্তেজনা দুই পারমাণবিক প্রতিবেশীর সম্পর্ককে আবারও সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে কূটনৈতিক মহল। বিশ্ব নেতারা এখনো শান্তির আহ্বান জানালেও, কাশ্মীর সীমান্তে প্রতিদিন গুলি বিনিময় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এসএম/টিএ