বলিউডের জেনারেশন জি তারকাদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত নাম কার্তিক আরিয়ান। একের পর এক সিনেমা একক নেতৃত্বে শত কোটির ক্লাবে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি—কোনো খান, কুমার বা কাপুর ছাড়াই। বলিউডের সাম্প্রতিক দৃশ্যে যেখানে একাধিক তারকার মাল্টিস্টারার সিনেমাই নিয়ম, সেখানে কার্তিক ব্যতিক্রম।
তাঁর শীর্ষ আয় করা ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ভুল ভুলাইয়া ৩ – প্রায় ৪২০ কোটি রুপি
ভুল ভুলাইয়া ২ – ২৯০ কোটি রুপি
সোনু কে টিটু কি সুইটি – ১৬০ কোটি রুপি
লুকা ছুপি – ১৩০ কোটি রুপি
সত্যপ্রেম কি কথা – ১২৬ কোটি রুপি
এই পাঁচটি ছবিতেই কার্তিক ছিলেন একক নায়ক। তাঁর ক্যারিয়ারে এমন এক অবস্থান তৈরি হয়েছে, যেখানে তিনি সিনেমার পুরো কেন্দ্রবিন্দু—চরিত্র, কাহিনি ও ব্র্যান্ডিং—সবই ঘুরছে তাঁকে ঘিরে।
সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি ‘মুঝসে শাদি করোগি ২’–এ বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। সহ-নায়ক হিসেবে কাজ করতে নারাজ কার্তিক। অনেকেই এটিকে আত্মবিশ্বাস বললেও, কেউ কেউ বলছেন—এটি কৌশলীভাবে নিরাপদ খেলা।
একক নায়ক হওয়ার কিছু সুবিধা রয়েছে—গল্পের নিয়ন্ত্রণ থাকে নিজের হাতে, চরিত্রে থাকে গভীরতা এবং ব্র্যান্ডিং হয় আরও স্পষ্ট। তবে মাল্টিস্টারার সিনেমা এড়ানোর কিছু অসুবিধাও আছে—পর্দায় নতুন রসায়ন দেখা যায় না, সিনেমার স্কেল বড় করা কঠিন হয় এবং সম্ভাব্য সফল কমেডি জুটি যেমন কার্তিক–বরুণ, তা আর তৈরি হয় না।
তবুও কার্তিক আপাতত নিজের গড়া স্টারডম ভাগ করতে রাজি নন। বলিউডে একক নেতৃত্বে হিটের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই তিনি এগিয়ে যেতে চান—নিজের শর্তে, নিজের স্টাইলে।
আরএ/টিএ