‘মসান’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন ভিকি কৌশল। এরপর ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’–এর সুপারহিট সাফল্য তাঁকে নিয়ে আসে জাতীয় আলোচনায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এই প্রতিভাবান অভিনেতা কি ধীরে ধীরে অক্ষয় কুমারের জাতীয়তাবাদী ছাঁচে নিজেকে আবদ্ধ করছেন?
সমালোচকদের মতে, অক্ষয় কুমার অনেক বেশি বার্তা-ভিত্তিক সিনেমা করতে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে সংযোগ হারাচ্ছেন। এখন ভিকির সাম্প্রতিক ফিল্মগ্রাফি দেখেও অনেকেই তেমনই একঘেয়ে প্যাটার্ন লক্ষ্য করছেন।
ভিকির সাম্প্রতিক সিনেমাগুলো হল:
উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক – দেশপ্রেমে উজ্জ্বল যুদ্ধনাটক
স্যাম বাহাদুর – এক গুরুগম্ভীর মিলিটারি বায়োপিক
ছাভা – ঐতিহাসিক যুদ্ধের গল্প
মহাবতার – একটি আধ্যাত্মিকধর্মী ছবি, যা শিগগির মুক্তি পেতে চলেছে
প্রতিটি ছবিই আলাদা করে প্রশংসনীয়, কিন্তু একটানা একই রকম থিমে কাজ করলে দর্শকের কাছে ক্লান্তির ছাপ পড়ে। বিশেষ করে ভিকির মতো বহুমাত্রিক প্রতিভাবান অভিনেতার জন্য এটি হতে পারে একটি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর কৌশল।
অক্ষয় কুমার ও ভিকির ক্যারিয়ারে এখন মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে—জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় বার্তা এবং অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার ঝোঁক। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে অভিযোগ—ভিকিও কি নিজেকে একঘেয়ে বার্তা-প্রধান নায়কে পরিণত করছেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিকির অভিনয়ে কোনো ঘাটতি নেই। সমস্যা কেবল দিকনির্দেশে। দর্শক তাঁকে আবারও চায় হালকা গল্পে, রোমান্টিক কমেডিতে, বা সাহসী চরিত্রে। প্রয়োজন গল্পে বৈচিত্র্য, ঘরানায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এখনই সময়—ভিকি কৌশল যদি নিজের কেরিয়ারকে নতুন দিশা দিতে চান, তবে তাঁকে ফিরে যেতে হবে সেই বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রগুলোর দিকে, যেগুলো তাঁকে একসময় পরিচিত করেছিল 'নতুন বলিউড'-এর অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল মুখ হিসেবে।
আরএ/টিএ