ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে ‘উসকানিমূলক বা বিভ্রান্তিমূলক’ তথ্য ছড়াতে নিষেধ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ ধরণের তথ্যের পাশাপাশি ভুয়া খবর ছড়ালে শাস্তি আছে বলে তাঁর রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৭ মে) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
মমতা বলেন, ‘দেশের স্বার্থে সকলকে এই সময় কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোনও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা যাবে না। তাই এই সময় কোনও রকম উসকানিমূলক বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচার বরদাস্ত করা হবে না, হলে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
বিভ্রান্তি যেন সামাজিক মাধ্যমে না ছড়ায় সেজন্য কিছু নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়। যেমন, পোস্টগুলোতে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করা, পোস্ট পড়া মাত্রই যাচাই না করে শেয়ার দেওয়া, উসকানিমূলক, ঘৃণা ছড়ানো, ধর্মীয় পোস্ট না করা পাশাপাশি অন্যের ভাবাবেগে আঘাত না করে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। যার ২৫ জনই ছিলেন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
ভারত ওই ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। ভারত এরপর সিন্ধু নদের পানি বন্টন চুক্তি বাতিলসহ একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে পাকিস্তানও সিমলাচুক্তি বাতিল, আকাশপথ বন্ধসহ একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে বিষয়টি এখানেই থেকে থাকেনি। ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। এদিকে পাকিস্তানও ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে।ন্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ককটেল বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১০ টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে প্রতিপক্ষ বাবু মাঝির নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে শ্রমিকলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরে ওইদিন দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত সানা মাঝি মধ্য মাকহাটি গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মদ মাঝির ছেলে। প্রতিপক্ষ বাবু মাঝি একই গ্রামের শামসুল মাঝির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিহত শ্রমিকলীগ কর্মীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। দুপুরে লাশ নেওয়া হয় মধ্য মাকহাটি গ্রামের বাড়িতে। বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। দাফন শেষে বিকেল ৩ টার দিকে কবরস্থান থেকে ফেরার পথে দিকে নিহতের স্বজন ও উপস্থিত লোকজনের উপর প্রতিপক্ষরা হামলা করে ককটেল ছুড়তে থাকে।
এসময় প্রতিপক্ষের নিক্ষেপ করা মূর্হুমুহু ককটেল বিস্ফোরণনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের ছোট ভাই আসাদ মাঝি দাবী করেন সেখানে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ছুড়ে মারে প্রতিপক্ষরা। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, স্বজনরা লাশ দাফন শেষে কবরস্থান থেকে ফিরছিলেন। এসময় তাদের পেছন থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে কবরস্থানের অদুরে জমিতে ওই ককটেল বিস্ফোরণ করে প্রতিপক্ষরা। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসএম/টিএ