১৯৯৯ সালে চিকিৎসক শ্রীরাম মাধব নেনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। তারপর পাড়ি জমান আমেরিকায় । তবে, সেখানকার অভ্যাসের সঙ্গে খানিকটা খাপ খাইয়ে নিতেও অসুবিধা হচ্ছিল মাধুরীর। স্বাভাবিক জীবনযাপনও কঠিন হয়ে উঠছিল তার পক্ষে।
এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেন মাধুরী। কেন তিনি তার পরিবারের সঙ্গে, বিশেষ করে তার বাচ্চাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন না, সেই কথাও জানিয়েছেন। মাধুরী এমনটাও বলেন, আমেরিকায় গিয়ে তার প্রথম দিকে খুব অস্বস্তি হতো।
সাক্ষাৎকারে মাধুরী বলেন, ‘আসলে ভারতীয়রা সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছেন। আমি মুদির দোকানে সামান্য জিনিসপত্র কিনতে বাইরে গেলেও, কেউ কেউ আমাকে চিনতে পারতেন। হয়তো টমেটো, বাঁধাকপি কিনছি। হঠাৎ দেখি পাশেই দাঁড়িয়ে অন্য এক ভারতীয়। খুব বিনয়ের সঙ্গেই সকলে কথা বললেন। আমার সিনেমাও ভালোবাসেন, আমায় সম্মানও করেন। কিন্তু এটা তো আমার একেবারে ব্যক্তিগত মুহূর্ত।’
মাধুরীর মাঝে মাঝে বিষয়টায় খুব ভয়ও লাগত। একটা সময় তিনি সেখানে গাড়ি চালানো শুরু করলেন। কোন জায়গায় যেতে হবে ঠিক বুঝতে পারতেন না। ঠিকানা খুঁজে পেতেও অনেক সমস্যা হতো। মাধুরীর কথায়, ‘এখানকার ড্রাইভার আমাকে যেখানে নিয়ে যেতে চাইতেন, সেখানেই নিয়ে যেতেন। একটা সময়ে আমার মনে হয়েছিল কেউ নিশ্চয়ই আমাকে চিনতে পারবে।
এসব ভেবেই ফের পথ ভুল করতাম।’
একদিন শাহরুখ খানের ‘কোয়েলা’ সিনেমার ‘ভাং কে নাশে মে’ গানে তাকে মদ্যপ অবস্থায় দেখে অভিনেত্রীর ছেলেরাও ভয় পেয়েছিলিন। সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না তিনি। ফিরে এসে দেখেন কম্পিউটারের সামনে একটা চিরকুট রাখা।
যেখানে লেখা, ‘প্রিয় মা, এই ছবিতে তুমি এত অদ্ভুত আচরণ করেছ কেন?’ যা দেখে হতবাক হয়েছিলেন অভিনেত্রী সে দিন ছেলেদের কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে পরিবারের সঙ্গে বসে যে এই ধরনের সিনেমা দেখতে একেবারেই পছন্দ করেন না মাধুরী, সে কথা জানিয়েছিলেন তার স্বামী।
আরএম/এসএন