ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কাশ্মীর সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়েছে। যুদ্ধের সম্ভাবনা যত বাড়ছে, ততই চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ কাশ্মীরিদের।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় গত ৭ মে থেকে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে অসংখ্য বসতঘর। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে শাহীপুর, মঙ্কোট ও কৃষ্ণঘাটি অন্যতম। শহরগুলোর পরিস্থিতি যুদ্ধক্ষেত্রের মতো, যেখানে প্রতিদিন আতঙ্ক আর মৃত্যুর আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা।
এক নারী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “এটি এক দুঃখজনক দুর্ঘটনা।” তবে স্থানীয়দের মতে, এটা কেবল দুর্ঘটনা নয়—এটা এক ভয়াবহ বাস্তবতা।
কাশ্মীরের একজন বিশ্লেষক বলেন, “এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষ শান্তি চায়, যুদ্ধ নয়।” পুঞ্চের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুই দেশের সংঘাতের সবচেয়ে বড় মূল্য তাদেরকেই দিতে হচ্ছে। এক বাসিন্দা বলেন, “তারা আমাদের কিছুই ভাবছে না। আমরা শুধু শান্তিতে বাঁচতে চাই।”
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাল্টা হামলায় সীমান্তজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই দেশের সম্পর্কের দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের ধারাবাহিকতায় এই সংঘর্ষকে অনেকে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ বলে মনে করছেন।
সীমান্তে গোলাগুলির মধ্যেও কাশ্মীরিরা এখন শুধু একটি স্লোগানেই একতাবদ্ধ: “আমরা যুদ্ধ চাই না।”
এসএস