রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) জুমার নামাজের পর এই কর্মসূচি শুরু হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে।
সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজ বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেয়।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সমাবেশে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। আর এখনও অর্ধশতাধিক মানুষ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
দেখা গেছে, জুমার নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
সমাবেশস্থলে ‘আওয়ামী লীগ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, নিষিদ্ধ করতে হবে, আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ’, ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী দল। তারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের দুঃশাসনের সময় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাই আমরা তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী অন্যান্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে, মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে দেখা গেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। সেখান থেকেই আজ জুমার নামাজের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পাশের মিন্টুরোডের পানির ফোয়ারার সামনে বড় জমায়েতের ডাক দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এতে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এসএম/টিএ