সরকার দেশের ১৫টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম থেকে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রত্যাহার করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, নামকরণে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৩ এপ্রিল শুরু হওয়া নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে গত ৬ মে আদেশ জারি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ ও আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মূল ফটকের সাইনবোর্ড, অফিসিয়াল কাগজপত্র ও ওয়েবসাইটে নতুন নাম প্রতিস্থাপন করতে। আদেশে বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম পরিবর্তিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ‘শেখ কামাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, যা এখন থেকে পরিচিত হবে ‘বালিয়াকান্দি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ হিসেবে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নতুন নাম ‘টুঙ্গিপাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। বরগুনার আমতলির ‘শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। পাবনার সাঁথিয়ার ‘শহীদ শেখ রাসেল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন ‘সাঁথিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নামেই পরিচিত হবে।
এছাড়া ফরিদপুর, শরীয়তপুর, নওগাঁ, যশোর, জামালপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত আরও একাধিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ঠাকুরগাঁও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বাদ পড়েছে শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক। ওয়াজেদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম খোকা, আবু শারাফ সাদেকসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম।
এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক আদেশে ১৬টি স্কুল, ৩টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ৩টি কলেজসহ মোট ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে। এছাড়া তারও আগেও ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৬টি মেডিকেল কলেজ ও ১৪টি হাসপাতাল থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দিয়েছে সরকার।
আরএ/এসএন