আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে রাজধানীর উত্তরায় আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
শনিবার (১১ মে) মধ্যরাতে উত্তরার বিএনএস সেন্টার আগে থেকেই অবস্থান ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করা ছাত্র ও সাধারণ জনতার অংশগ্রহণে এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো’, ‘এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগের ঠিকানা’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, আওয়ামী লীগ গেলি কই’, ‘ঘরে ঘরে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এর আগে, শনিবার সকালে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এখন থেকে রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে।
এই সংশোধনী গৃহীত হওয়ার পরপরই পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে, এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে, সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম (সাইবার স্পেস-সহ) নিষিদ্ধ করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সরকারি পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
অন্যদিকে, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
আরআর