কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তান- এই দুই প্রতিবেশী দেশের চলছিল তীব্র উত্তেজনা। এরপর গত বুধবার পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে একরকম যুদ্ধ জড়ায় ভারত; যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। আর সে ঘটনার প্রেক্ষিতে বলিউড পেয়ে যায় এক নতুন সিনেমার প্লট; ঘোষণা করা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে নতুন সিনেমা।
কিন্তু এ নিয়ে সিনেমার নাম ঘোষণা হতেই নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন ছবির নাম-পোস্টার ঠিক করে রাখা দুই পরিচালক। শুধু তাই নয়, পরিচালকদের এমন কর্মকাণ্ডে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজকে সরাসরি ‘নির্লজ্জ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
যুদ্ধক্ষেত্রকে পুঁজি করে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবসাসফল করা বলিউডের কাছে নতুন কিছু না। পাকিস্তানের ওপর প্রত্যাঘাতের কাহিনি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে যেন সর্বদা উদগ্রীব থাকে পাশের দেশের এই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজ। তাই তো পাকিস্তানে হামলার কয়েকদিনের মধ্যেই গত শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পোস্টার প্রকাশ করেন পরিচালক উত্তম মাহেশ্বর এবং নিতিন কুমার গুপ্তা। অতঃপর, নানা কড়া ভাষায় নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন তারা। আর এমন অবস্থায় পড়ে ক্ষমা না চেয়ে পারলেন না পরিচালক উত্তম মাহেশ্বর।
এক বিবৃতিতে উত্তমের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এই ছবি বানানোর পেছনে তাদের উদ্দেশ্য শুধুই সামাজিক বার্তা দেওয়া, কোনোভাবেই এটি খ্যাতি বা বাণিজ্যের জন্য নয়। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পরিচালকের কথায়, ‘আমরা দেশপ্রেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছি, এখনকার উত্তেজনার সঙ্গে সিনেমার প্রচার বা মুনাফার কোনো সম্পর্ক নেই।’
তারই প্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইলেন পরিচালক। নিজের বিবৃতিতে মহেশ্বরী বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ অভিযানের প্রেক্ষিতে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি সিনেমা ঘোষণা করেছিলাম। কারো অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমাদের সেনাবাহিনীর সাহস, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব আমাদের নাড়া দিয়েছে। এই ঘটনাই শুধু সামনে আনতে চেয়েছি, এর পেছনে রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতাও । খ্যাতি বা অর্থ উপার্জনের অভিপ্রায় একেবারেই ছিল না। তবে আমি বুঝতে পারছি যে এই সংবেদনশীল সময়ে এমন ঘোষণা কারও মনে কষ্টের কারণ করতে পারে।’
এসএন