আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘‘যারা মানুষ মা'রে তাদের অনলাইন, অফলাইনে কোনো রকম একটিভিটি করার অধিকার নাই। অনলাইনেও নিষিদ্ধ লীগের কার্যক্রম বন্ধ হবে।’’
শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে বিচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
সিদ্ধান্তের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা ও মতবিনিময়। রাফি’র বক্তব্য সেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, হত্যাকারী রাজনৈতিক শক্তির কোনো প্ল্যাটফর্মে থাকার ন্যায্যতা নেই।
এদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, আন্তর্জাতিক মহল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এই সিদ্ধান্তকে একদিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখলেও, অন্যদিকে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও গভীর হতে পারে।
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন বাংলাদেশে গঠিত হতে যাওয়া রাজনৈতিক পরিণতির দিকে।
এসএন