জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘যারাই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে দস্তি পাকাবে, বন্ধুত্ব করবে বা যেকোনোভাবে জড়িত হবে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের সবাইকে একই কাতারে বিবেচনা করবে। বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না। আমরা আর কোনো ফ্যাসিস্ট প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না।’
তিনি রোববার (১২ মে) সাঁথিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বাংলাদেশে আর কোনো ভোট ডাকাতির সুযোগ দেওয়া হবে না। যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তার আগে সকল গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে হবে এবং গণহত্যাকারীদের ফাঁসির মঞ্চে ঝুলাতে হবে।’
‘যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাদের হত্যা করা হয়েছে, শহীদ করা হয়েছে—তাদের হত্যা-পরিকল্পনায় জড়িত সকল কর্মকর্তা, সাক্ষী ও বিচারকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে,’—বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী, মাওলানা আব্দুস সোবহানের ছেলে নেসার আহমেদ নান্নু, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমাম ওয়াফি, আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর, আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল, মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর গাফফার খান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য আব্দুল বাসেত খান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ প্রমুখ।
টিকে/টিএ