নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে হামলা চালিয়েছে ইজিবাইক চালকেরা। এতে সিটি করপোরেশনের স্টাফসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় লোহার গেট ভেঙে প্রায় দেড় ঘণ্টা নগরভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন চালকরা। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সোমবার দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন- সিটি করপোরেশনের সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম, যানজট নিরসন কর্মী শাওন, লিটন, পলাশ। তাৎক্ষণিক আহত সবার নাম জানা যায়নি।
জানা যায়, গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জের অংশ হিসেবে ও শহরে যানজট নিরসনে মূল শহরে অটোরিকশা (ইজিবাইক) চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। শহরের প্রবেশ পথগুলোতে অনুমোদন হীন অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এতে সোমবার দুপুরে অটোচালকেরা নগর ভবনের সামনে মাইক লাগিয়ে বক্তব্য ও নানা স্লোগান দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে লোহার রড, ছুরি ও চাকুসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র হাতে নগর ভবনের গেটে হামলা চালায়। তখন তারা গেটের ওপর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তালা ভেঙে গেট খুলে দেয়। এরপর তারা যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই মারধর করে আহত করেছে।
ইজিবাইক চালকরা জানান, শৃঙ্খলা বজায় রেখে ইজিবাইক চালালেও নগর ভবনের কর্মচারীরা মারাত্মক হয়রানি করেন। তারা টাকাও নেয় আবার ইজিবাইক চালাতেও বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় ইজিবাইক চালকদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এসেছে। আজকের এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও সিটি করপোরেশনের স্টাফদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন জানান, সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় এবং আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গুরুতর আহত করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/টিএ