দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল শাখা ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর ছুটে আসেন তার বাবা ফখরুল আলম ও মা লায়লা আলম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ছেলের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শোকার্ত এই বাবা-মা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
সহপাঠী বায়েজীদ আব্দুল্লাহ জানান, ঘটনা রাত সাড়ে ১১টার। সাম্যের সঙ্গে তিনি এবং তাদের আরেক বন্ধু রাফি ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে একটি মোটরসাইকেল করে বের হচ্ছিলেন তারা। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্য একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
অন্য মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা কাটাকাটি হয়। যা মারামারিতেও রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দলটি।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, ‘সহপাঠীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’
এদিকে সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন সাম্যের বাবা-মা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আদরের সন্তানের পড়ে থাকা নিথর দেহ দেখতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। এ সময় আশে-পাশের মানুষদের সাম্যের বাবা জিজ্ঞেস করতে থাকেন, কীভাবে মারা গেল তার সন্তান? কেউ কী গুলি করেছে?
এসময় ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জড়িয়ে ধরে সাম্যের বাবাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন। তখনও সাম্যের বাবা প্রশ্ন করতে থাকেন, বহিরাগতরা কেন মারল তার সন্তানকে? কান্না করতে করতে তিনি বিচারের দাবিও জানান।
আরএ