ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্য হত্যাকে ছাত্রদল গভীরভাবে নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, নিহত সাম্য ছিলেন ছাত্রদলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) মধ্যরাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। এ ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রদল সভাপতি।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় রাজপথে তার সাহসী ভূমিকা ছিল, বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সহপাঠীদের কাছে সে ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও মেধাবী।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই এর পেছনে রাজনীতি খুঁজছি না। আমরা চাই আমাদের সহযোদ্ধা হত্যার বিচার হোক। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পুরোপুরি অনিরাপদ স্থান হয়ে গেছে। দিন-রাত প্রকাশ্যে মাদকসেবীরা সেখানে মাদক সেবন করে। রাত ১২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদকের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এগুলো মাসের পর মাস ধরে চললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বাস্তবতায় আমরা দেখেছি, অপরাধীদের ধরার মতো সক্ষমতা প্রশাসনের আছে কি না, তা নিয়েই এখন সন্দেহ তৈরি হয়েছে।’
‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে দ্রুত নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে,’ জানান রাকিব।
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ফখরুল আলমের ছেলে।
আরআর/টিএ