চলতি মাসের শেষ সময়ে পাকিস্তানে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি নির্ধারিত ছিল বাংলাদেশের জন্য। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেটি ছিল বড় ধরণের প্রস্তুতির মঞ্চ। কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক সংঘাত প্রশ্ন তুলেছে সফর আয়োজন নিয়ে।
যদিও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থেকেই গিয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, পরিবর্তিত সূচিতেও খেলতে আপত্তি নেই বাংলাদেশ দলের। তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর বলছে, পাকিস্তান সিরিজে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছে তারা।
মূল সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ দলকে ২৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পাকিস্তানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই লিগের বাকি অংশের শেষ হবে ২৫ মে।
এর প্রভাবে পিছিয়েছে বাংলাদেশ সিরিজের সূচিটাও। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের নতুন সূচি তৈরি করেছেন। যেখানে প্রথম ম্যাচ ২৭ মে এবং শেষ ম্যাচ ৫ জুনে নির্ধারিত করা হয়েছে।
এসব প্রসঙ্গে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই সফরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের নিরাপত্তা সংস্থা ও ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করবে বিসিবি।
তিনি বলেন, ‘সফরের তারিখ ও ভেন্যু সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলে তা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাব। বিসিবি এ বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয়। সরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ও ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাস যদি পাকিস্তানকে নিরাপদ ঘোষণা করে, তবে আমরা সফরে যাব।”
তিনি বলেন, ‘আমাদের আগের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এ ধরনের পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে। সব পক্ষ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই সফর চূড়ান্ত করা হবে। আগে নিরাপত্তা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগ ছিল, তবে পাকিস্তান এখন সফরকারী দলকে নিরাপত্তা দিতে পারে তা প্রমাণ করেছে। তবুও, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, পুরো দেশে স্থিতিশীলতা রয়েছে কি না তা যাচাই করা জরুরি।”
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সফরের আগে বাংলাদেশ দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এরপরই তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরএম/টিএ