১০ বছর পর বদলে গেল গুগল

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল প্রায় এক দশক পর তাদের বহুল পরিচিত লোগোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। নতুন ডিজাইনে গুগলের ইংরেজি ‘G’ (জি) লোগোকে আরও রঙিন ও সমন্বিত রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সিগনেচার চারটি রঙ — লাল, হলুদ, সবুজ এবং নীল নতুনভাবে একত্রে মিশে গেছে।

নতুন লোগোটির প্রথম ঝলক পাওয়া যায় চলতি বছরের ১১ মে। ওইদিন আইফোনের গুগল সার্চ অ্যাপ হালনাগাদ করার পর অনেক ব্যবহারকারী লোগোর নতুন রূপ দেখতে পান। পরদিন ১২ মে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের গুগল অ্যাপেও বিটা সংস্করণ আপডেটের মাধ্যমে নতুন ডিজাইনটি দেখা যায়।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যেই ধাপে ধাপে সব ডিভাইসে নতুন লোগো চালু হবে। শুধু মোবাইল অ্যাপ নয়, ওয়েব ব্রাউজারের ট্যাবেও নতুন 'ফ্যাভিকন' (ছোট আইকন) হিসেবে এটি প্রতিস্থাপিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ গুগল ব্যবহার করে। তাই গুগলের লোগো শুধু একটি চিহ্ন নয়, বরং এটি একটি গ্লোবাল আইডেন্টিটি — যা প্রযুক্তি, তথ্য ও নিত্যদিনের ডিজিটাল অভিজ্ঞতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ফলে এই লোগোর যেকোনো পরিবর্তনই বৈশ্বিক প্রযুক্তি জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে।

এর আগে গুগল তাদের লোগোতে সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঐতিহ্যবাহী 'শেরিফ' টাইপফেস বাদ দিয়ে আধুনিক, ক্লিন ও ডিজিটাল-ফ্রেন্ডলি ‘Product Sans’ ফন্ট বেছে নেয়। সেইসঙ্গে ছোট হাতের ‘g’ বাদ দিয়ে বৃত্তাকারে বড় হাতের ‘G’ আইকন চালু করে, যা পরে গুগলের অ্যাপ ও অন্যান্য পরিষেবার চেহারা বদলে দেয়।

গুগলের ভাষ্য অনুযায়ী, ডিভাইসভিত্তিক ব্যবহারযোগ্যতা, আধুনিক ডিজিটাল পরিবেশ এবং বিভিন্ন ইনপুট মাধ্যমের উপযোগিতা (যেমন — টাচ, টাইপ, ভয়েস) বিবেচনা করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন লোগোতে চারটি রঙ একত্রে আরও গতিশীলভাবে যুক্ত হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির উন্মুক্ততা, বৈচিত্র্য ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে প্রতিফলিত করে। এটি একাধারে উজ্জ্বল, সহজবোধ্য এবং গ্রাহকবান্ধব, যা যেকোনো স্ক্রিনে সমানভাবে মানানসই।

আরএম/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ায় অবাক হইনি: জাদেজা Oct 12, 2025
img
সচেতনতা আর টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা Oct 12, 2025
img
যেভাবে জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও টাইফয়েডের টিকা পাওয়া যাবে Oct 12, 2025
img
ন্যায় ও আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে : বাবর Oct 12, 2025
img
বিতর্কিত তিন নির্বাচনের তদন্তে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইল কমিশন Oct 12, 2025
img
যুদ্ধবিরতির পর গাজা শহরে ফিরেছেন ৫ লক্ষাধিক মানুষ Oct 12, 2025
img
আর নেই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডায়ান কিটন Oct 12, 2025
img
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 12, 2025
img
বাংলাদেশ বল খেলেনি, খেলেছে রশিদকে, দ্রুত উন্নতি প্রয়োজন: মুশতাক আহমেদ Oct 12, 2025
img
প্রতিদিনের খাবারেই লুকিয়ে আছে অ্যালার্জি প্রতিরোধের চাবিকাঠি Oct 12, 2025
img
পরিচালনার আদ্যোপান্ত বাবার কাছ থেকেই শিখেছেন আরিয়ান! Oct 12, 2025
img
বাঞ্ছারামপুরে জোনায়েদ সাকিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা Oct 12, 2025
img
মায়ামিকে জোড়া গোলে জেতালেন মেসি Oct 12, 2025
img
প্রতারণা নয়, সৌভাগ্যের ফোনেই পাল্টে গেল বৃদ্ধার জীবন Oct 12, 2025
img
জন্মদিনে অমিতাভের চল্লিশা পাঠ হলো কলকাতায়! Oct 12, 2025
img
শান্তি খুঁজে পেলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী Oct 12, 2025
img
আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান Oct 12, 2025
img
৩ সপ্তাহ পর সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় Oct 12, 2025
img
গণভোট নিয়ে এখন আর বিতর্কের সুযোগ নেই : সারোয়ার তুষার Oct 12, 2025
img
দুটি ছাড়া ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাঘাঁটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে Oct 12, 2025