এই সময়ে বাজারে ঢেঁড়সের দেখা পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালীন এই সবজি প্রায় সবারই প্রিয়। বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এই সবজি। ওজন কমানোসহ ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি।
তবে এই সবজি সবার জন্য উপকারী নয়। ঢেঁড়সে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কিছু মানুষের জন্য নানা রোগের কারণ হতে পারে। এর যেমন কিছু উপকারিতা আছে, তেমনি আছে কিছু অপকারিতা। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক—
কিডনিতে পাথর
সাধারণত এই সবজিতে অক্সালেট নামক একটি যৌগ পদার্থ থাকে।
অতিরিক্ত পরিমাণে ঢেঁড়স খেলে এই অক্সালিক নামক যৌগ পদার্থের কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তারা ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পেটের সমস্যা
ঢেঁড়স একটি কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ সবজি। অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, গ্যাস ও অন্ত্রের প্রদাহের মতো সমস্যা হতে পারে।তাই অতিরিক্ত ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ত্বকের ক্ষতি
ঢেঁড়স থেকে নিঃসৃত প্রোটিওলাইটিক নামক এনজাইমের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই ত্বকজনিত সমস্যা থাকলে ঢেঁড়স খেতে হবে পরিমাণমতো।
রক্ত ঘন হয়ে যাওয়া
ঢেঁড়সে ভিটামিনের পরিমাণ বেশি। এটি শরীরের রক্ত ঘন করতে সাহায্য করতে পারে।যাদের ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা রয়েছে, তারা এই সবজি বেশি খাবেন না।
অ্যালার্জির সমস্যা
ঢেঁড়সে ল্যাকটিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা কিছু মানুষের শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। সে ক্ষেত্রে ঢেঁড়স খেলে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, নিঃশ্বাসে সমস্যা অথবা পেটে ব্যথা হতে পারে। একই সঙ্গে ঢেঁড়সে উচ্চ
মাত্রায় ফাইবার থাকে। ফলে অনেকের গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। যাদের এসব সমস্যা আছে তাদের ঢেঁড়স থেকে দূরে থাকা উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মতো পেটের সমস্যা থাকে, তারা ঢেঁড়স থেকে দূরে থাকবেন। না হয় এই সমস্যাগুলো আরো বাড়বে।
গর্ভবতী নারী
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকারী নারীদের ঢেঁড়স খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
এ ছাড়া ঢেঁড়সে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস। এগুলো শরীরের জন্য উপকারী হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
এফপি/টিএ