চার দশকের কাছাকাছি সময় কারাভোগের পর অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী পিটার সুলিভান। ১৯৮৬ সালে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগে দণ্ডিত হলেও, ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে আসে তিনি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন না। এ তথ্যের ভিত্তিতে লন্ডনের আপিল আদালত মঙ্গলবার (১৩ মে) তার সাজা বাতিল করে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের লিভারপুলের কাছে বেবিংটনের একটি পাব থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ২১ বছর বয়সী ফুল বিক্রেতা ডায়ান সিন্ডাল।
রাস্তার মধ্যে তার গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে তিনি হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পরদিন সকালে তার মরদেহ রাস্তার পাশে একটি গলিতে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্তে জানিয়েছিল, যৌন নিপীড়ন ও মারধরের পরে সিন্ডালকে হত্যা করা হয়েছিল।
সিন্ডালের শরীরে যে নমুনা পাওয়া যায় তা সেই সময় বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করতে পারেননি।
কিন্তু ২০২৪ সালে ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ হয় যে যৌন নিপীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তি সুলিভান নন। এতে আদালত মেনে নেয় যে তাকে ভুলভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
জেলখানা থেকে ভিডিওর মাধ্যমে শুনানি দেখেন সুলিভান। আদালতের রায়ে তিনি আবেগে কেঁদে ফেলেন।
তার আইনজীবীর মাধ্যমে জানান, ‘আমি রাগান্বিত নই। আমি শুধু আমার প্রিয় মানুষদের কাছে ফিরতে চাই।’ সুলিভানের বোন কিম স্মিথ বলেন, ‘আমরা ৩৯ বছর ভাইকে হারিয়েছি। এখন ভাইকে ফিরে পেলেও সব কিছু আগের মতো হবে না। একইভাবে ডায়ান সিন্ডালের পরিবারও তাদের মেয়েকে আর ফিরে পাবে না।
এই ঘটনায় দুই পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত।’
ডিএনএ নমুনা এখনও পরিচিত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে তারা আবার নতুন করে খুনি খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৬০ জনেরও বেশি পুরুষকে সন্দেহভাজন হিসেবে পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে আসল খুনি ধরা পড়েনি। সূত্র : সিএনএন
আরএ/টিএ