২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক হামলার নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখন মার্চে দুই দেশ যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় বসেছিল। কিন্তু সেটি ভেস্তে যায়। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেনের কর্মকর্তারা মুখোমুখি হননি।
এদিকে আজকের বৈঠকটি হচ্ছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে একই রুমে বৈঠকে বসলেও তারা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য হলো তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো। অপরদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য দীর্ঘকালীন শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো এবং এই দ্বন্দ্বের ‘যে মূল কারণ রয়েছে সেটি নির্মূল করা’।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার এমন উদ্দেশ্যের অর্থ হলো তারা যুদ্ধবিরতি চায় না। তাদের মূল সমস্যা হলো ইউক্রেনের ভৌগলিক অখণ্ডতা।
গতকাল রাশিয়ার প্রধান আলোচক জানান তারা ‘ছাড়’ দিতে রাজি আছেন। কিন্তু কি ধরনের ছাড় দেওয়া হবে সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। রাশিয়া ইউক্রেনকে শর্ত দিচ্ছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না এবং ইউক্রেনের যে পাঁচটি অঞ্চল দখল করা হয়েছে সেগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। তবে ভলোদিমির জেলেনস্কি এগুলো কখনো মানবেন না।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের আলোচনার শুরুতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুই দেশের প্রতিনিধিরা যেহেতু হাতই মেলাননি। তাই তাদের আলোচনায় ব্রেক থ্রু দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বিবিসি সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে এটি একটি বিরতি। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে আরও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এফপি /টিএ