স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাসে দুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা সবার জন্যই প্রয়োজনীয়। অপরদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে গুড়ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খাওয়া একটি প্রাচীন প্রাকৃতিক পদ্ধতি, যা শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং দেহের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও কার্যকর।
দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে পান করার কিছু উপকারিতা রয়েছে। কী সেই উপকারিতা, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গুড় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।
এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম প্রোটিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে এই পানীয়টি একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হয়ে ওঠে।
হজম উন্নত করে
গুড় হজম এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, হজম উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। খাবারের পরে গুড়ের দুধ পান করলে হজমের উন্নতি হয় এবং হজমের সমস্যা কমানো যায়। এই মিশ্রণটি হজম এনজাইমগুলোকে উদ্দীপিত করে হজমে সহায়তা করে। এর ফলে বদহজম ও পেটের সমস্যা হ্রাস পায়।
হাড় মজবুত করে
দুধকে ক্যালসিয়ামের একটি খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এতে গুড় যোগ করলে এর উপকারিতা বৃদ্ধি পায়। গুড়ে উপস্থিত আয়রন হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করে এবং সামগ্রিক কঙ্কালের শক্তি উন্নত করে।
জয়েন্টের ব্যথা কমায়
দুধ ও গুড়ের এই মিশ্রণ জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে এটি আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
লিভার পরিষ্কার করে
গুড় একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে, যা গরম দুধের সাথে খেলে লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। তাছাড়া গুড়ে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে এটি আপনাকে সাধারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায়
আয়রনে সমৃদ্ধ হওয়ায়, গুড় হিমোগ্লোবিনের সুস্থ মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে দুধ পুষ্টির শোষণ বাড়ায়, যা রক্তাল্পতা কমাতে এটি একটি ভালো বিকল্প। এটি রক্ত পরিশোধন করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
এসএম/টিএ