ব্রিটেনের অন্যতম আধুনিক যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ড্রাগন প্রথমবারের মতো সুপারসনিক (মার্চ-৪ যা শব্দের গতির চারগুণ) ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এটি রয়েল নেভির প্রতিরক্ষা সক্ষমতার এক ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর।
বৃহস্পতিবার একটি পরীক্ষামূলক মহড়ায় একটি বিশেষভাবে পরিবর্তিত সি ভাইপার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে যা শব্দের চারগুণ গতিতে উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে (ম্যাক ৪) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি ‘সুপারসনিক সি স্কিমিং’ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দেয় যা সমুদ্রপৃষ্ঠের খুব কাছ দিয়ে উড়ছিল।
এইচএমএস ড্রাগনের স্যাম্পসন রাডার সিস্টেমের দ্বারা পরিচালিত, যা হাজার হাজার ঘন মাইল আকাশসীমা জুড়ে বায়ুবাহিত বস্তু ট্র্যাক করে। এরপর জাহাজের ক্ষেপণাস্ত্রটি আড়াই সেকেন্ডের মধ্যে পানির উপরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে।
এই ঘটনা রয়্যাল নেভির ইতিহাসে প্রথমবার বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এই সাফল্যটি ঘটেছে ‘ফরমিডেবল সিল্ড ২৫’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়ায়, যেখানে ১১টি ন্যাটো সদস্য দেশের ৭ হাজার সেনা সদস্য অংশ নিচ্ছেন। মহড়াটি আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যাতে সমুদ্র ও স্থলভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই মহড়ার প্রথম অংশ নরওয়ের একটি ফায়ারিং রেঞ্জে শুরু হয়ে বর্তমানে স্কটল্যান্ড উপকূলের কাছে এমওডি-এর হেব্রাইডিস গভীর সমুদ্রের ফায়ারিং রেঞ্জে চলছে।
এ বিষয়ে এইচএমএস ড্রাগনের কমান্ডার ইয়ান গিফিন বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা শুধুমাত্র ড্রাগনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রমাণ নয়, বরং এটি ন্যাটো সহযোগীদের সঙ্গে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার ক্ষমতারও প্রমাণ।
এসএস/এসএন