যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক এআই চিপ চুক্তি সম্পন্ন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ কেনার জন্য ‘খুব বড় ধরনের চুক্তি’ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উপসাগরীয় সফর শেষে এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায়শই উপসাগরীয় শাসকদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক চুক্তির ধরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ জেনারেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনসহ ১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের বোয়িং ৭৮৭ এবং ৭৭৭এক্স বিমান কিনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি, এক্সনমোবাইল, অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম এবং ইওজি রিসোর্সেস জানিয়েছে, তারা ৬০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন সম্প্রসারণের জন্য আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করবে।

এমিরেটস গ্লোবাল অ্যালুমিনিয়ামের চার বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প বিশেষভাবে ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি ১৯৮০ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম অ্যালুমিনিয়াম স্মেল্টার খুলবে।

এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘এটি একটি বড়, খুব বিশেষ প্রকল্প।’

তিনি বলেন, ‘ওকলাহোমাতে চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। দেখুন, তারা অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে এই সমস্ত কাজ করছে... যদি তারা এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) করে তবে তাদের এটি পাঠানোর জন্য একটি বড় শুল্ক দিতে হবে... আপনি এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করতে যাচ্ছেন। এটা আশ্চর্যজনক।’

যুক্তরাষ্ট্র আরও জানিয়েছে, তারা ১০ বছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এক দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। যদিও ট্রাম্পের ঘোষিত অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মতো এটি বাস্তবায়িত হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। এই পরিমাণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বার্ষিক জিডিপির ২০০ শতাংশেরও বেশি।

তবে এআই নিয়ে ঘোষিত চুক্তিটি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘গতকাল দুটি দেশ আমেরিকান কোম্পানিগুলো থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এআই সেমিকন্ডাক্টরগুলো কেনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য একটি পথ তৈরি করতেও সম্মত হয়েছে। এটি একটি খুব বড় চুক্তি।’

সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে লাখ লাখ এআই চিপ কেনার পাশাপাশি ডেটা সেন্টার তৈরিতে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।


এসএস/এসএন

Share this news on: