বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আলটিমেটাম দিয়েছেন সমম্বয়ক ফাতেমা খানম লিজা। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
এই সময়ের মধ্যে প্রমাণ দিতে না পারলে বৈছাআ চট্টগ্রাম নগরের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
অব্যাহতির পর শনিবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লিজা একটি ভিডিওতে বলছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন আমার বিরুদ্ধে যে দুটি অ্যালিগেশন দিয়েছে। প্রথমত মাদকসেবনকারী, দ্বিতীয়ত অনিয়ন্ত্রিত জীবন নিয়ে। সম্পূর্ণ বেইসলেজ একটা ইস্যু। আমার কথা একটাই, যদি তারা আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে মাদকের বিষয়ে প্রমাণ করতে না পারে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
এর আগে শনিবার (১৭ মে) সংগঠনটির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সই করা আদেশে লিজাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্ত ও ত্যাগের ভিত্তিতে গঠিত একটি সংগঠনের প্রতিনিধির এমন আচরণ জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তাই সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাকে মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
আরেকটি আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগে ডবলমুরিং থানায় আটক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাহরিয়ার সিকদারকে সংগঠক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় সংগঠনটির অভ্যন্তরে ও বিভিন্ন সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সংগঠনের নেতারা জানান, সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে এবং মূল্যবোধ রক্ষায় এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এসএম/এসএন