পর্তুগালে রোববার (১৮ মে) জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বামপন্থি ও ডানপন্থি মিলিয়ে মোট ২১টি দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সহজ অভিবাসন নীতির পক্ষে থাকা বামপন্থি দলগুলোর বিজয়ের দিকে তাকিয়ে আছে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।
বামপন্থি প্রধান দলগুলোর মধ্যে রয়েছে সোশ্যালিস্ট পার্টির (পিএস) নেতৃত্বে পেদ্রো নুনো সান্তোস, লেফট ব্লক (বিই) নেতৃত্বে মারিয়ানা মরতাগুয়া, লিভরে নেতৃত্বে রুই তাভারেস, ইউনিটারি ডেমোক্রেটিক কোয়ালিশনের (সিডিইউ) নেতৃত্বে পাওলো রাইমুন্ডো, এই জোটটি পিসিপি ও পিইভির সমন্বয়ে গঠিত।
ডানপন্থি দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এডি) নেতৃত্বে লুইস মন্টেনেগ্রো; এটি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি), পিপল’স পার্টি (সিডিএস-পিপি) সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট। শেগার নেতৃত্বে আন্দ্রে ভেনচুরা একটি কট্টর ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী দল। ইনিশিয়েটিভ লিবারেলের (ইএল) নেতৃত্বে রুই রোসা, এই দলটি মধ্যপন্থি।
বর্তমানে দেশটিতে কঠোর অভিবাসন নীতি এবং ডানপন্থি দলগুলোর অভিবাসীদের প্রতি কট্টর মনোভাবের কারণে দেশটিতে বসবাসকারী অভিবাসীরা বর্তমান সরকারের বিরোধী দলে থাকা সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) এবং লেফট ব্লক (বিই) বা ব্লক এস্কেরদা নামক অভিবাসীবান্ধব বামপন্থি এ দুটি দলের প্রতি আস্থা পোষণ করছেন এবং তাদের বিজয়ের আশা ব্যক্ত করছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ও পর্তুগিজ নাগরিক এবং সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা রাজিব আল মামুন গনমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনকালে গত এক বছরে অভিবাসন আইন পরিবর্তনসহ অভিবাসীরা নানা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বামপন্থি দলগুলো অভিবাসীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, তাই অভিবাসীদের স্বার্থরক্ষায় সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) এবং ব্লক এস্কেরদা (বিই)সহ বামপন্থি দলগুলোকে ভোট প্রদান করা ছাড়া অভিবাসীদের আর কোনো সুযোগ নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে সবগুলো জরিপের হিসাব অনুযায়ী, ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এডি) প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে, তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সম্ভাবনা কম। সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) প্রায় ২৬ শতাংশ এবং চেগা (শেগা) ১৭-১৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে না পারলে জোট সরকার গঠনের প্রয়োজন হতে পারে।
অপরদিকে বর্তমান বিরোধী দল সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা পেদ্র নুনু সন্তোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জরিপের ফলাফল যাই হোক না কেন তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ক্ষমতায় আসবে। কেননা, বর্তমান সরকারের ওপর দেশের জনগণের আস্থা না থাকার কারণে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তাদের কাছের দল ইনিশিয়েটিভ লিবারেলের সঙ্গে জোট করার চিন্তাভাবনা করছে এবং জরিপের হিসাব অনুযায়ী ইনিশিয়েটিভ লিবারেল সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০টি আসন পেতে পারে। যদিও বর্তমানে সব হিসাব এবং জরিপ অনুযায়ী ডানপন্থিদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
টিকে/এসএন