চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৩ মেয়র একাডেমি কাপে খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য গোপন করে ১৫ বছরের একজনকে খেলোয়াড় হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৩ খেলায়। একই খেলোয়াড়ের আরেক ভাইয়ের নাম গোপন করে ভিন্ন নামে ম্যাচে অংশ নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি।
আনোয়ারা ফুটবল একাডেমির কোচ আমিন ফারুক বলেন, সিডিএফএ-মেয়র অনূর্ধ্ব-১৩ একাডেমি কাপে অংশ নেওয়া পটিয়া আবদুস সোবহান ফুটবল একাডেমি তাদের দুই খেলোয়াড়ের তথ্য গোপন করেছে। যে দুইজনের তথ্য গোপন করেছে তারা দুইজন আপন ভাই। তাদের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ডকুমেন্টে সে তথ্য রয়েছে। তাদের বয়স ১৫ বছরের বেশি হলেও তাদের ১৩ বছর দাবি করে খেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেমি ফাইনালে আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছে এই টিম। এতে আমাদের নজরে পড়েছে এই অসংগতি। ওই খেলায় ৭ নং জার্সি পরে বর্ণিল বড়ুয়া নামে খেলেছে জয়দীপ বড়ুয়া। তার বয়স সাড়ে ১৫ বছর হলেও তাকে খেলানো হয়েছে ১৩ বছর বয়স হিসেবে। একইভাবে তার আপন সহোদর জয়রাজ বড়ুয়ার নাম গোপন করে শাফকাত শরিফ ও অন্যান্য কাগজ ভুয়া তৈরি করে তাকে খেলোয়াড় হিসেবে ওই টিমে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তার বয়সও সাড়ে ১৫ বছর পার হয়েছে। আমরা এ বিষয়টি আপিল কমিটির কাছে অভিযোগ করে ডকুমেন্ট সহকারে দিয়েছি। আশা করছি তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
পটিয়া আবদুস সোবহান ফুটবদলের কোচ আবুল কালাম বাবুল বলেন, ‘খেলায় হেরে অভিযোগ দিচ্ছে। এই অভিযোগ সত্য নয়।’
জানতে চাইলে সিডিএফএ-মেয়র একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব-১৩ এর আপিল কমিটির প্রধান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন জাহ্ঙ্গাীর বলেন, অভিযোগ খারিজ করার পর আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি আপিল করেছে। আপিল কমিটি সভায় বসার পর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সিডিএফএ নিয়ম মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, সিডিএফএ-মেয়র একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব-১৩ এর সেমিফাইনাল ম্যাচ গত ১৪ মে চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনোয়ারা ফুটবল একাডেমির বনাম পটিয়া আবদুস সোবহান ফুটবল দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় আনোয়ারা ফুটবল একাডেমিকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে আবদুস সোবহান ফুটবল দল। খেলার পরপরই আবদুস সোবহান ফুটবল দলের বিরুদ্ধে ৭ জন অবৈধ খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দাবি করে অভিযোগ করে আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি। কিন্তু লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো তথ্য প্রমাণ সংযুক্ত না করার কারণে অভিযোগ খারিজ করে দেয় জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করে অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন খেলোয়াড়ের তথ্য সংযুক্ত করা হয়। জয়দীপ বড়ুয়া ও জয়রাজ বড়ুয়া নামের দুই জমজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের সঙ্গে দুই ভাইয়ের জেএসসি পরীক্ষায় তাদের নাম ও ছবিসহ তথ্য, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংযুক্ত করা হয়। জয়রাজের বিরুদ্ধে ২০২৩-২৪ সালে আবদুস সোবহান ফুটবল দলের হয়ে এনএসটি অনূর্ধ্ব-১৩ ফুটবল টুর্নামেন্টে ভিন্ন নামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে খেলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
আরআর/এসএন