বাংলাদেশের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেই মূলত জয় সহজ হয়ে যায় আরব আমিরাতের। শেষ দিকে হায়দার আলির ৬ বলে ১৫ রানের কার্যকরী ইনিংসে ভর করে সিরিজে সমতায় ফিরেছে স্বাগতিক দল। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে হারানোর স্বাদ পেল আমিরাত।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ওয়াসিম বলেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশকে হারিয়ে দারুণ লাগছে। আমি সবাইকে বিশ্বাস দিচ্ছিলাম, এই রান তাড়া সম্ভব কারণ আমরা এই কন্ডিশন চিনি।’
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই সংস্করণে তার চেয়ে বেশি রান করেনি আর কেউ। গত দুই ম্যাচে ওয়াসিমের ব্যাটের উত্তাপ টের পেয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন পাকিস্তান থেকে আমিরাতে পাড়ি জমানো এই ক্রিকেটার।
সমতায় ফেরার পর এবার বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটা খেলব এবং লক্ষ্য থাকবে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতার।’
প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল লিটন দাসের দলের। তবে সিরিজটির প্রথম ম্যাচ শেষেই বাড়তি আরেকটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয় বাংলাদেশের তরফে। বিসিবির এমন প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টিম টাইগার্সের সঙ্গে আরেকটি বাড়তি ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক দল। তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টি হবে আগামী ২১ মে। তৃতীয় ম্যাচটিও মাঠে গড়াবে একই সময়ে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়।
এদিকে, আমিরাতের আরেক ক্রিকেটার আসিফ খান বলেন, 'প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা এর আগেও দুইবার টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারিয়েছি। আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের দলটা খুব ভালো।'
আসিফ আরও বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওয়াসিম ভাই যেভাবে পাওয়ার হিটিং করছে সেটাই লাগবে। এখানে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলার কারণে আমাদের ধারণা ছিল ২১০-২১৫ রান কীভাবে তাড়া করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ৬ ওভারে ৬০ রান করা। সেটাই ওয়াসিম ভাই প্রয়োগ করেছেন। নিচের ব্যাটাররাও পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ ম্যাচ জিতেছি।'
আরএম/এসএন