বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নামে প্রতারণা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। প্রতিষ্ঠানটির লোগো, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে এই প্রতারণা চালাচ্ছে চক্রটি। এতে বিভ্রান্ত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ.বি.এম. রওশন কবীর এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারকরা নিজেদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা প্রথমে বিমানের বুকিং রেফারেন্স হিসেবে একটি পিএনআর নম্বর সরবরাহ করে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে। পরে অর্থ আদায় করে সেই পিএনআর বাতিল করে দেয় অথবা টিকিট নিশ্চিত না থাকায় নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। ফলে গ্রাহক প্রতারিত হন।
বিমানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পিএনআর এবং টিকিট এক নয়। পিএনআর শুধুমাত্র আসন সংরক্ষণের প্রাথমিক ধাপ, তবে টিকিট ইস্যু না হলে সেই আসন নিশ্চিত হয় না।টিকিট ইস্যু করলেই কেবল যাত্রা চূড়ান্ত হয়। তাই ভ্রমণের আগে টিকিট ইস্যু করা অত্যাবশ্যক।
বিমান আরও জানিয়েছে, কোনো ট্রাভেল এজেন্ট পিএনআর নম্বর দেওয়ার পর গ্রাহক যেন অর্থ লেনদেনের আগে নিকটস্থ সেলস সেন্টার অথবা বিমানের কল সেন্টার ১৩৬৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করে পিএনআরের সত্যতা যাচাই করেন।
প্রতারকদের ব্যবহৃত নম্বর ও ব্যাংক হিসাব সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, মোবাইল নম্বর ০১৭৪৯৮৮১৯৭৮, ০১৩২২৮৭৮৮৬৩ এবং ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ইতোমধ্যেই অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট, কল সেন্টার, সেলস অফিস বা আইএটিএ অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে টিকিট না কেনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কেউ প্রতারণার শিকার হলে কাছের থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরএম/এসএন