কর্নেল সোফিয়া কুরেশির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের পরে কেন বিজয় শাহকে মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়নি তা নিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তার বিরুদ্ধে ২৮ মে-এর পরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২৮ মে, বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী তিন সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল সুপ্রিম কোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
বিজয় শাহের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য জাতীয় শিরোনামে উঠে আসার পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে সমালোচনার মুখে পড়ে।
এ বিষয়ে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারী বিজেপিকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি ‘অবমাননাকর মন্তব্যকারী’ নেতাকে অপসারণ করবে কিনা।
জবাবে বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘সরকার ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আদালত যে নির্দেশই দিক না কেন, তারা তা মেনে চলবে। এর অর্থ হল, ২৮ মে এসআইটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরে বিজয় শাহ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এর আগে মধ্যপ্রদেশের উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী একটি জনসভায় কর্নেল কুরেশি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
রায়কুন্ডা গ্রামে জনসভায় পাকিস্তান-ভারত সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সামরিক পদক্ষেপ ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনা করছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী কুনওয়ার বিজয় শাহ।
এ সময় তিনি কর্নেল কুরেশিকে পহেলগাম আক্রমণকারীদের ‘সিস্টার’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এরপর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এই মন্তব্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়। আদালত বলেছে, ‘সন্ত্রাসীদের বোন মন্তব্য ধর্মীয় সম্প্রীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
তবে তার মন্তব্য নিয়ে হট্টগোলের পর, মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে তিনি কর্নেল কুরেশিকে তার বোনের চেয়ে বেশি সম্মান করেন।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রায়ই পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সাথে অপারেশন সিন্দুরের সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকতেন।
এর আগে পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালানোর দাবি জানায় ভারত।
এসএম/এসএন