চিনাবাদাম বা পিনাট দিয়ে তৈরি পিনাট বাটার এখন অনেকেই রাখছেন তাদের ডায়েট চার্টে। দেখতে মাখনের মতো হলেও পিনাট বাটারের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ সাধারণ মাখনের চেয়ে অনেক আলাদা। বরং পুষ্টিগুণের বিচারে অনেক এগিয়ে এই বাদামের মাখন। চিকিৎসকেরা যেখানে হার্টের রোগীদের সাধারণ মাখন এড়িয়ে চলতে বলেন, সেখানে তারা পিনাট বাটার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কারণ, চিনাবাদামে থাকা উপাদান রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়। তবে সতর্কতা একটাই—পিনাট বাটার যেন চিনি ও লবণবিহীন হয়, নইলে উপকারের বদলে হতে পারে ক্ষতি। চলুন, জেনে নিই পিনাট বাটারের উপকারিতা।
পেশি ও স্নায়ু
পিনাট বাটারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। যা স্নায়ু ও পেশির সুস্থতার জন্য জরুরি। এর অভাবে দুর্বলতা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস ও স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য
ভিটামিন ই চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।এটি চোখে রক্তনালির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে ও ঝাপসা দেখার সমস্যা কমায়।
হার্টের স্বাস্থ্য
এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও রেজভেরাট্রল নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হার্টকে সুরক্ষা দেয়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
পিনাট বাটারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় না। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর হওয়ায় এটি দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে বাজার থেকে কেনার সময় দেখে নিতে হবে উপাদানতালিকা। চিনি ও লবণবিহীন প্রাকৃতিক পিনাট বাটারই হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের চাবিকাঠি।
এমএর/টিএ