মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে রাহুল আহমেদ খান (১৮) নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই কিশোর আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৯ মে) রাতে উপজেলার খাসের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহুলের বাবা উপজেলার স্থানীয় ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও মেদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের বাড়ি। দুই বছর আগে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও রাহুল দেয়নি।
জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল কিশোরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় ১০ দিন আগে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মেদুলিয়াসহ আশপাশের গ্রামের কয়েকজন কিশোর-তরুণের সঙ্গে রাহুল ও তার সঙ্গীদের বাগবিতণ্ডা-হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
গতকাল রাতে খাসের চর গ্রামে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাহুলের ওপর হামলা করে ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর ও তরুণ। এ সময় ছুরিকাঘাত করে রাহুলকে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় হামলায় মো. রাসেল ও আসিফ নামে আরও দুই কিশোর আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাহুলকে উদ্ধার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত রাহুলের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য রাহুলের মরদেহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত রাহুল আহমেদের বাবা নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধে তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় নয়াপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (১৮), কামুড়া গ্রামের নাজমুল হোসেন (১৯) ও তানভীর হোসেন (১৮) ও খাসের চর গ্রামের রাজিব হোসেনসহ (১৯) আরও বেশ কয়েকজন কিশোর-তরুণ তার ছেলের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে রাহুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। নিহতের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এমএর/টিএ