শেনজেন ভিসা বাতিলের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

২০২৪ সালে শেনজেন ভিসার আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হারে ভিসা প্রত্যাখ্যান হয়েছে কমোরোস, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের। শেনজেনভিসাইনফো প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এসব দেশের আবেদনকারীদের ভিসা বাতিলের হার তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি।

কমোরোসের নাগরিকরা ২০২৪ সালে ২,৮৫৩টি ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে ১,৭৫৪টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়— যা মোট আবেদনসংখ্যার ৬২.৮ শতাংশ। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে, কমোরোস থেকে ৩,৭০০টি আবেদন জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ২,১৭০টি বাতিল হয়েছিল। সে বছর প্রত্যাখ্যানের হার ছিল প্রায় ৬১ শতাংশ। ২০২৪ সালে আবেদন কমলেও (২৪.২% হ্রাস), প্রত্যাখ্যানের হার আরও বেড়েছে।

বাংলাদেশি আবেদনকারীদের অবস্থাও হতাশাজনক। ২০২৩ সালে ৪১,৩১৭টি ভিসার আবেদন জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ১৭,০১৫টি বাতিল হয়— অর্থাৎ প্রত্যাখ্যানের হার ছিল ৪২.৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ওই বছর বাংলাদেশি নাগরিকরা মোট ৩৯,৩৪৫টি ভিসার জন্য আবেদন করেন, যার মধ্যে ২০,৯৫৭টি বাতিল হয়— অর্থাৎ ৫৪.৯ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।

পাকিস্তানের নাগরিকদের ২০২৪ সালে ৭৮,৩৬২টি আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ৩৫,১৩৯টি প্রত্যাখ্যাত হয়— অর্থাৎ প্রত্যাখ্যানের হার ৪৭.৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের জন্য প্রত্যাখ্যানের হার ছিল ৪৮.২ শতাংশ (৮৬,৬৯৮টি আবেদনের মধ্যে ৪১,৭৯৮টি বাতিল)।

ভিসা প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দেশভেদে পার্থক্যও লক্ষ করা গেছে। কমোরোস থেকে আসা সব আবেদনই ছিল ফ্রান্সের ভিসার জন্য। এগুলোর সবই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ হার (৬৭.৫%) প্রত্যাখ্যান করেছে সুইডেন। দেশটির ভিসার জন্য ১৭,৯১৭টি আবেদন জমা পড়েছিল।

পাকিস্তানি আবেদনকারীদের সবচেয়ে বেশি হার (৮৩.৫%) প্রত্যাখ্যান করেছে অস্ট্রিয়া, যেখানে ৩,০১১টি আবেদন জমা পড়ে। তবে সংখ্যার দিক থেকে সর্বাধিক আবেদন বাতিল করেছে স্পেন, যেখানে পাকিস্তানের ৬,৬৮৬টি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, পূর্ববর্তী ভ্রমণ ইতিহাস, এবং যথাযথ কাগজপত্র না থাকা— এসব কারণেই মূলত উচ্চ হারে ভিসা প্রত্যাখ্যান হচ্ছে।

আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিয়ের গুঞ্জনে এবার নীরবতা ভাঙলেন অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণান Oct 12, 2025
img
'ফ্রি প্যালেস্টাইন' স্লোগানে মুখর মাঠে নেতানিয়াহুর দেশকে উড়িয়ে দিল নরওয়ে Oct 12, 2025
img
কুমিল্লাকে নিয়ে কটূক্তি করায় নোয়াখালীগামী বাস আটকে রাখে স্থানীয়রা Oct 12, 2025
img
হাতে বাগদানের আংটি, বিজয়কে কবে বিয়ে করছেন রশ্মিকা? Oct 12, 2025
img
বিএনপির ৩১ দফা হাওরবাসীর মুক্তির সনদ : মাহবুবুর রহমান Oct 12, 2025
img
আমরা চাপমুক্ত সাংবাদিকতা দেখতে চাই : সিনিয়র সচিব Oct 12, 2025
img
ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল নামিবিয়া Oct 12, 2025
img
চট্টগ্রামে কনসার্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জেরে সংঘর্ষ Oct 12, 2025
img
অধিকাংশ সেনা সদস্য চান সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক : বিএনপি Oct 12, 2025
img
আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিপাকে সমীর ওয়াংখেড়ে Oct 12, 2025
img
আফগানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সিরিজ হার বাংলাদেশের Oct 12, 2025
img
বিমানবন্দর সড়কে নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম! Oct 11, 2025
img
বিএনপি সরকারে এলে জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করবে : শামা ওবায়েদ Oct 11, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাংবাদিকদের অবারিত স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে: আজাদ মজুমদার Oct 11, 2025
img

সামান্তা শারমিন

শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে আইডেন্টিফাই করতে হবে Oct 11, 2025
img
রোববার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু Oct 11, 2025
img
মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ইরানের Oct 11, 2025
img
জামায়াত সৎ মানুষদের মনোনয়ন দিয়েছে : এটিএম আজহার Oct 11, 2025
img

জিল্লুর রহমানের বিশ্লেষণ

আবারও ভেল্কিবাজি, রাজনীতিতে কালো ছায়া Oct 11, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিলো চীন Oct 11, 2025