রাজনীতিতে আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দিচ্ছেন এলন মাস্ক!

বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ও রিপাবলিকান পার্টির বড় অর্থদাতা এলন মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তার আর্থিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবেন। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান প্রার্থীদের জন্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন মাস্ক। তবে এবার তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে খরচ অনেক কম হবে। আমি মনে করি, যা করার ছিল, তা করেছি।”

মঙ্গলবার (২০ মে) কাতারে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে মাস্ক এ মন্তব্য করেন।

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর সম্পৃক্ততা এবং সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের নেতৃত্ব দেওয়ায় তার সময় ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

মাস্ক, যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম X-এর মালিক, ট্রাম্পের একজন শীর্ষ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাঁর এই ভূমিকা টেসলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন জোরালো করেছে, যার ফলে কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ার মূল্যে ধস নেমেছে।

মাস্ক যদি সত্যিই তার রাজনৈতিক খরচ কমিয়ে দেন, তাহলে তা ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ তিনি ছিলেন এই দলটির সবচেয়ে বড় অর্থদাতা।

তবে মাস্ক ভবিষ্যতে রাজনীতিতে খরচ পুরোপুরি বন্ধ করছেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে যদি রাজনৈতিক খরচের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি, তাহলে আমি অবশ্যই করবো।”

হোয়াইট হাউজের এক সূত্র এই সিদ্ধান্তকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, মাস্ক এখনো ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টির প্রতি "সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" সূত্রটি জানায়, মাস্ক বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে, যেমন—উপদেষ্টা হিসেবে, আর্থিক অবদান এবং দাতাদের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কে অনানুষ্ঠানিক প্রভাব খাটিয়ে সমর্থন চালিয়ে যাবেন।

ওই সূত্র আরও বলেন, মাস্কের এই ‘পেছিয়ে আসা’ বর্তমান রাজনৈতিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় একটি ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত’, এবং প্রেসিডেন্ট তার এই অবস্থান পর্যালোচনার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্কের এমন অবস্থান রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে।

আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের স্কোয়াডে বড় চমক! May 21, 2025
img
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশের প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি May 21, 2025
img
নতুন রূপে ‘শক্তিমান’ নিয়ে ফিরছেন মুকেশ খান্না May 21, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্র নিয়ে বৈঠকে ইসি কমিশন May 21, 2025
img
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানালেন আব্দুল জব্বার মন্ডল May 21, 2025
img
বাতিল হলো মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলা May 21, 2025
img
স্বর্ণের দরপতনেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অটুট May 21, 2025
img
মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান ইশরাকের হাজারো অনুসারীদের, বন্ধ যান চলাচল May 21, 2025
পুলিশের চাকরি ছাড়লেন ৫ এএসপি May 21, 2025
ইসি পুনর্গঠনের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ May 21, 2025
শেনজেন ভিসা প্রত্যাখ্যানের শীর্ষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান May 21, 2025
img
আসছে ইউনিক আইডি সুবিধা, দেখা যাবে বিসিএসের সব ধাপের প্রাপ্ত নম্বর May 21, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে ৬ কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য চুরি, শিক্ষাখাতে সাইবার হামলা May 21, 2025
img
গাজীপুরে নারী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক May 21, 2025
img
দেশে আবারও বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল May 21, 2025
img
বান্দরবানে বাসের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত May 21, 2025
img
মোদির ছবি সম্বলিত নেকলেস পরে 'কান'-এ অভিনেত্রী May 21, 2025
img
বৃহস্পতিবার জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড আপিলের শুনানি May 21, 2025
img
আজ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ May 21, 2025
img
স্কোয়াড ছোট হলেই আমি সিটিতে থাকব: গার্দিওলা May 21, 2025