আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজটি বাংলাদেশের মূলত প্রস্তুতিমূলক ছিল—পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যেই যুক্ত করা হয়েছিল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ার পর সেটিই আরও এক ধাপ বাড়িয়ে সিরিজে যুক্ত করা হয় দ্বিতীয় ম্যাচ। কিন্তু কে জানত, এই অতিরিক্ত ম্যাচটিই পরিণত হবে এক রুদ্ধশ্বাস সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে।
শারজাহতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চমকে দিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়েছে স্বাগতিক আরব আমিরাত। ফলে এখন দুই দলের মধ্যকার সিরিজ ১-১ সমতায়। আজ (রবিবার) রাত ৯টায় মাঠে গড়াবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ—যা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি ‘ডু অর ডাই’ লড়াই।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড দুঃস্বপ্নের মতো।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের ম্যাচ মানেই হতাশা। গেল ৬ বছর ৯ মাস এমন সুযোগ এসেছে একাধিকবার, কিন্তু জয় এসেছে মাত্র দুইবার।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯ রানে জয়।
২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৫ জুলাইয়ের ম্যাচ।
এই দুটি ছাড়া বাকি সববারই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। কখনও সমতায় থেকেও সিরিজ ভাগাভাগি করতে হয়েছে, কখনও আবার হারিয়ে গেছে সিরিজের সুযোগ।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ এগিয়ে থেকেও শেষ ম্যাচে হারে বাংলাদেশ।
২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১-০ পিছিয়ে থেকে ৩য় ম্যাচেও হার।
আজকের ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশ ফিরে পাবে সেই পুরনো জয়-স্মৃতি, যা তারা সবশেষ অর্জন করেছিল ১ হাজার ৩৯৬ দিন আগে—অর্থাৎ ৩ বছর ৯ মাস ২৭ দিন আগে।
আজকের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। আগের ম্যাচে চোটের কারণে না খেলা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আজ ফিরতে পারেন। একই সঙ্গে দলে ফিরতে পারেন পেসার হাসান মাহমুদ।
তবে আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করলেও নাহিদ রানাকেও স্কোয়াডে রাখা হতে পারে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে আজ কেবল সিরিজ জয় নয়, বরং একটা পুরনো ব্যর্থতার রেকর্ড ভাঙারও সুযোগ। শারজাহর ব্যাটিং সহায়ক কন্ডিশনে নির্ভরতা থাকবে ব্যাটারদের ওপর, আর বোলারদের সামনে থাকবে ধারাবাহিক হওয়ার পরীক্ষাও।
ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।
টিকে/টিএ