ইসরাইলসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে এতটাই উন্নত, যে কোনো সময় আকাশপথে যেকোনো ধরনের হামলার জবাব দিতে তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তেহরানে এক সামরিক অনুষ্ঠানে বাঘেরি বলেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শত্রুর বিমান শনাক্ত ও ধ্বংসে আমাদের সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়েছে।‘ তার ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও শনাক্তকরণ সরঞ্জামের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুই থেকে তিন গুণ বেশি কার্যকর হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ইরানের শক্তির অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠছে দেশীয়ভাবে উন্নয়নকৃত বাভার-৩৭৩ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী রেজা সাবাহী ফারদ বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে হার মানাতে সক্ষম বাভার-৩৭৩।‘ এই সিস্টেম একযোগে সাতটি লক্ষ্য শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে।
সহযোগিতার অংশ হিসেবে ইরানি বহরে যুক্ত হয়েছে রাশিয়ার অত্যাধুনিক সুখোই এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান। যা ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার গতি এবং ৩৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলার সক্ষমতা রাখে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।
ইরানের এমন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইল। নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন নতুন কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ইরানের সামরিক বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, দেশের আকাশসীমা সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় রয়েছে এবং শত্রুপক্ষ কোনো ধরনের লঙ্ঘন ঘটালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
এসএম/টিএ