ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে আজ বুধবার (২১ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন বলছে, অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
সাম্যর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত এবং এসংক্রান্ত আইনি ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত ধারাবাহিক পদক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সাম্যর পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাম্যর পিতা মো. ফকরুল আলম সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সাম্যর ৩ ভাই এস এ এম আমিরুল ইসলাম, এস এ এম শরীফুল আলম ও এস এ এম শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে আমরা সব প্রকার রাজনীতির বাইরে থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রয়োজনে সাম্যর পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করা হবে।’
সাম্যর পিতা মো. ফকরুল আলম অপরাধীদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।
এ ঘটনার পরপরই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরএম/এসএন