ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা এখনো তুলনামূলকভাবে দুর্বল বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বিয়াম মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ‘স্ট্রেনদেনিং মাল্টি-হ্যাজার্ড প্রিপেয়ার্ডনেস: ফোকাস অন আর্থকোয়েক অ্যান্ড আরবান রেজেলিয়েন্স’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
দুর্যোগ উপদেষ্টা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও ভূমিকম্প মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা এখনো তুলনামুলকভাবে দুর্বল। ভূমিকম্প এমন এক দুর্যোগ, যা কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে আসে। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগে মোকাবিলা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা ও সমন্বয় অপরিহার্য। এক্ষেত্রে নিয়মিত মহড়া ও জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোতে আমাদের আরও জোর দিতে হবে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, জনসংখ্যার অতিমাত্রায় ঘনত্ব, শহরে জনসংখ্যার চাপ, ভৌগোলিক অবস্থান ও বাস্তবতা ইত্যাদি বিবেচনায় যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে জড়িত সব সংস্থাকে বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্ৰহণ করতে হবে।
ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোডের যথাযথ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউনুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশস্থ ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারত্নে বক্তৃতা করেন।
‘শহরভিক্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ভূমিকম্পের প্রস্তুতি’র ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. রাকিবুল আহসান।
আরএম/এসএন