মৌসুমি ফলগুলোর মধ্যে আতা প্রায় সবজায়গায় পাওয়া যায়। এই ফলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। যেগুলোর জন্য এটি খুবই পরিচিত। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ আতা মানসিক সুস্থতায় টনিক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া আর কী কাজ করে এই ফল, জেনে নিন—
মিষ্টি জাতীয় ফল আতায় ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়া কিছু ভিটামিন, প্রোটিন, ও যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেলও আছে। প্রধান ভিটামিন উপাদানগুলোর মধ্যে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স থাকে।
মিনারেল উপাদানগুলোর মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন অন্যতম।
আতার উপকারিতা
আতায় থাকা ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি-রেডিকেলস প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
আতা ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি-৬ নিউরো ট্রান্সমিটারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্ট্রেসফুল জীবনযাপনের কারণে অনেক বেশি হতাশা বা হীনম্মন্যতা তৈরি হয়। এসব হতাশা প্রতিরোধে ভিটামিন বি-৬ খুব বেশি সহায়তা করে। এ কারণে মানসিক সুস্থতার জন্য আতা সবচেয়ে কার্যকর।
আতায় থাকা ক্যারোটিন অয়েড উপাদানটি আমাদের চোখের সুস্থতায় কাজ করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যা আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এ ছাড়া এর খনিজ উপাদানগুলো আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
হার্টের মারাত্মক রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও বড় ভূমিকা রয়েছে আতার।
তাই সুস্থ থাকতে আতা খাওয়াই যেতে পারে। তবে সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। নয়তো বিপদ বাড়তে পারে।
আরএম/এসএন