আত্রাই নদীর ভারতীয় অংশে সম্প্রতি নির্মিত বাঁধ ভেঙে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশকে ঘিরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। জলপাইগুড়ির উত্তরকন্যায় বুধবার (২১ মে) এক প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, সীমান্তবর্তী একটি দেশের (পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ) সঙ্গে চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি বাঁধের কারণেই দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ আত্রাই নদীর পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মমতা বলেন, “আমাদের কাজটা সীমিত হয়ে গেছে, কারণ সীমান্তবর্তী একটি দেশ – নাম বলছি না – চীনের সঙ্গে মিলে একটা বাঁধ তৈরি করেছে। আমরা এই বিষয়ে বারবার কেন্দ্রকে জানিয়েছি, কিন্তু কিছুই হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “যখন আত্রাই নদীর পানি পুরোপুরি আটকে দেওয়া হলো, তখন তো কেন্দ্র কিছু বলল না। অথচ এখন বাঁধ ভেঙেছে বলে রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, আত্রাই নদীর উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৩০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত একটি বাঁধ মঙ্গলবার (২০ মে) ভোররাতে প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়ে। মাত্র চার মাস আগেই বাঁধটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতেও একবার গার্ডওয়াল ভেঙে পড়েছিল। এরপর বালির বস্তা ফেলে তা সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছিল।
বাঁধ ধসের পর কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বালুরঘাটের বিজেপি সংসদ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। এর পরদিনই মমতা প্রশাসনিক সভায় এ ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনকে ইঙ্গিত করে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে মমতা তিস্তা নদীর কথাও টেনে এনে প্রতিবেশী সিকিম রাজ্যকেও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “সিকিমে ১৪টি হাইড্রো প্রজেক্টের কারণে তিস্তায় পানি নেই। সব পানি এসে পড়ছে বাংলার বুকে। ওদের কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে অনুমতি দিল?”
কড়া ভাষায় মমতা বলেন, “যদি কেউ মনে করে বাংলার উপর নিঃশ্বাস ফেলবে, তাহলে আমরাও নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। কেউ যেন সীমারেখা অতিক্রম না করে।”
এমআর/টিএ